উৎসব

২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস-আজ জাতীয় পতাকা দিবস-২০২৪

মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। এ মাসে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, নিপীড়ন ও রক্তপাত উপেক্ষা করে নির্ভীক ছাত্র-জনতা আমাদের জাতীয় পতাকা বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই পতাকা আমাদের স্বাধীনতা চেতনার প্রতীক। পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর শোষণ, অন্যায়, নিপীড়ন ও অবিচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে ২৬শে মার্চ জনতা সাড়া দেয়।

প্রকৃতপক্ষে সেদিন পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার পথে যাত্রা শুরু করেছিল। পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বোঝা যায় স্বাধীন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। এই পতাকা উত্তোলন একটি শোষিত ও বঞ্চিত দেশের অধিকার ও অধিকারের জন্য বিপ্লবের বার্তা দেয়। বহু ত্যাগ, দীর্ঘ রক্তপাত, রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ৯ মাসের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই পতাকা আমাদের জাতীয় পতাকা হিসেবে বিবেচিত হয়।

২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস

2 শে মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হওয়ায় সকাল থেকেই দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ ঢাকার রাজপথে নেমে আসে এবং ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর অত্যাচার, নিপীড়ন, শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকে। নির্ভীক ছাত্রসমাজ ও জনগণ পাকিস্তানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বলেছে, বাঙালিরা মাথা নত করবে না। এক টুকরো লাল-সবুজের মাঝখানে পরিচিত বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের সদর দফতরে কিংবা বিশ্বকাপ ক্রিকেট, অলিম্পিক বা যেকোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে লাল-সবুজ বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের মানচিত্রে পতাকাটি প্রথম উত্তোলন করেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব। এ সময় ছাত্র সমাবেশে নেতৃত্ব দেন নূরে আলম সিদ্দিকী, আবদুল কুদ্দুস মাখন, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব প্রমুখ।

 জাতীয় পতাকা দিবস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে প্রথম নিজ হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জনসভাও এদিন ঘোষণা করা হয়। লাল-সবুজ বাংলাদেশের প্রতীক। সেই সবুজ ছড়িয়ে আছে আমাদের মাতৃভূমিতে।

আর লাল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীকী রং। এই পতাকা লাল-সবুজে ঘেরা প্রিয় বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দেয়। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতার নতুন সূর্যের প্রতীক লাল বৃত্ত। 1971 সালের 16 এপ্রিল, কলকাতায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনের প্রধান এম হোসেন আলী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বিদেশের মাটিতে এটিই প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ এপ্রিল বর্তমান মুজিব নগর, মেহেরপুরের আম্রকানে প্রথম জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। 1972 সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে পতাকার মাঝখানে লাল বৃত্তে লাল বৃত্ত যুক্ত করা হয় হলুদ মানচিত্র, যা উদীয়মান সূর্যের প্রতীক এবং যারা আত্মত্যাগকারীদের রক্তের স্মৃতি বহন করে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বসবাস করেন। পতাকার দুই পাশে মানচিত্র সঠিকভাবে আঁকার সমস্যার কারণে পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানকে পতাকার আকার, রং ও ব্যাখ্যা নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কামরুল হাসানের ডিজাইনের পরিমার্জিত রূপই এখন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। এরপর ছাত্রনেতাদের মতামতের ভিত্তিতে পতাকার আকার ও রঙ নির্ধারণ করা হবে। শাহজাহান সিরাজের প্রস্তাবে পতাকাটি লাল, আ স ম আবদুর রবের মতে জমিন সবুজ, মার্শাল মনির মতে গাঢ় সবুজ এবং কাজী আরেফ আহমেদের প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল। স্থাপন করা পতাকার নকশা করেন শিবনারায়ণ দাস।

আজ জাতীয় পতাকা দিবস

ছাত্রনেতা খসরু নিউমার্কেট থেকে কালি, ব্রাশ ও কাপড় কিনেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে সেদিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পতাকা ওড়ানো হয়। সব দিবসে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা সাধারণ মানুষের জন্য আইনত অপরাধ। যাইহোক, যে দিনগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যেতে পারে সেগুলি হল স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস, বিজয় দিবস এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত অন্য যে কোনও দিন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও যেকোনো দিন এই প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন। যে 15টি বাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে তা হল: রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, প্রতিমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিদেশে বাংলাদেশের কূটনীতিক এবং তিন পার্বত্য ডি এর চেয়ারম্যান মো………………….

আরো পড়ুন,

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টিকেট দাম কত 

পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও টিকেট ও ছুটির দিন 

Bangla love sms, Romantic bangla status

Liton Roy

আমি লিটন রায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *